ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেদের খোলস পাল্টিয়েছে রাশিয়া। বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। সোমবারও (৩১ অক্টোবর) এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এদিন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ সারাদেশেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
এতে করে বিদ্যুৎহীন রয়েছে কিয়েভবাসী। এমনকি বিশুদ্ধ পানির জন্য লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাদের। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, সোমবারও কিয়েভসহ সারা ইউক্রেনজুড়ে বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে করে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা গেছে। খাবার পানির জন্য লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে কিয়েভের জনগণ।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎস্কোর জানান, শহরের ৪০ শতাংশ ভোক্তা পানি ছাড়া রয়েছে। এ ছাড়া দুই লাখ ৭০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে।
গতকালের হামলায় দেশজুড়ে ১৩ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। তারা বলেছে, সর্বশেষ হামলায় ১০ অঞ্চলের ১৮ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার বিষয়ে রাশিয়া বলছে, তারা ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
ইউক্রেনের সামরিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার ৪৫ থেকে ৫৫টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে।
সোমবারের হামলার পরপরই কিয়েভের ৮০ শতাংশ ভোক্তার পানির ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
বিবিসি বলছে, চলতি সপ্তাহে ক্রিমিয়া উপদ্বীপে অবস্থান করা যুদ্ধ জাহাজে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এর জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করছে রাশিয়া। এর প্রতিশোধ হিসেবেই সোমবারের হামলাগুলো করা হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি রুশ কর্তৃপক্ষ।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, শীতের আগে ইউক্রেনীয় নাগরিকদের মনোবল ভেঙে দেয়ার জন্যই এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শীতে ইউক্রেনের তাপমাত্রা -২০ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে।